দীর্ঘ ১৬ বছর পার হলেও শেষ হয়নি বহুমাত্রিক লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার কাজ।
যদিও চলতি বছরেই এ মামলার রায় হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া দুই জার্মান ডাক্তারকে আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছে আসামিপক্ষ।
রাষ্ট্র পক্ষের দাবি, এই হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। খুব শিগগিরই রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে। একই সঙ্গে রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হুমায়ুন আজাদ হত্যার দুই মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষী এবং বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অবস্থায় রয়েছে। আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী না দিলে যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে।
হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ জন।
উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং পরবর্তীতে ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।